লবণ হ্রদের পথে |
লবণ হ্রদ জায়গাটা বেশ ভাল। কেমন যেন অন্য কলকাতা। কেমন বিশাল বিশাল ইমারত, ঝাঁ - চকচকে রাস্তা, বিশেষ এই সেক্টর - ফাইভ তো তাক লাগিয়ে দেবার মত। সবথেকে ভাল এখানকার একাধিক ঝিল। কেমন টলটলে জল, পাশে পরিচ্ছন্ন পায়ে হাটা পথ। সকালের দিকে বিশেষ লোকজন দেখবে না। তবে একটু বেলা বাড়লেই অফিস-কর্মীর ভিড়।
সুবিশাল ইমারত |
না, সাবেক আমলের অফিস পাড়ার হাফাতে-হাফাতে পেটমোটা বড়বাবু এখানে বড় একটা দেখবে না। বরং এখানে দেখা যায় তারুণ্যে উজ্জ্বল সতেজ কর্মী গোষ্ঠী। এনারা দেশ-বিদেশের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়ার প্রোজেক্টে যুক্ত।
সুসজ্জিত বাগান |
সকালে এনাদের আড্ডায় শুনেছি হাই-এন্ড প্রযুক্তি নিয়ে চর্চা চলছে। সিনিয়ররা জুনিয়রদের বিভিন্ন কাজ বোঝাচ্ছেন। বারবার থ্রি-এডিট ছবির সেই দৃশ্য-টা মনে পড়ে। জগতের সর্বত্র জ্ঞানের বণ্টন হচ্ছে, কেন নিজেদের আবদ্ধ রাখব ছোট একটা গণ্ডির মধ্যে!!!
সন্ধ্যার লবণ হ্রদের অন্য রূপ! সন্ধ্যার দিকে শিফট পরিবর্তনের সময়। যখন একদল ফিরছে বাড়ির দিকে, আরেকদল এখন লবণ হ্রদ মুখি। নাইট শিফট-এ কাজের জন্য। মনে হবে চব্বিশ ঘণ্টাই এখানে কর্ম-প্রবাহ চলছে।
সুবিশাল ঝিল |
এটাই হয়ত পরিবর্তিত কলকাতা তথা ভারতবর্ষের নবতম প্রতিচ্ছবি।
কিছু ছবি তুলেছিলাম, শেয়ার করলাম।
No comments:
Post a Comment
Share your love! Share your train of thoughts! I feel great to read your responses!