Friday, 29 November 2019

মানে ভঞ্জন থেকে টুংলুর দিকে - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক


সকাল সকাল যাত্রা শুরু হল মানে ভঞ্জন থেকে, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পথ। পথ বললে ভুল হয়। ঘন পাইনের গুড়ি - ডাল - শাখা-প্রশাখার ফাঁক দিয়ে পিছলে বেড়িয়ে যাওয়া। পায়ের তলার মাটি স্যাঁতস্যাঁতে। জোঁকের ঘনঘটা। একবার ধরে আর রেহাই নেই। অন্তত এক-দু ঘণ্টার জন্য রক্ত বেরতেই থাকবে। 

পথের মধ্যে ট্রেকারস হাটে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ করে নিলুম। টুংলু তে পৌছতে - পৌছতে প্রায় দুপুর ঢলে বিকেল। 
জঙ্গলের পথে

শুভ


নীরব সৌন্দর্য

বিরতি

ঘন মেঘের আচ্ছাদনে

মোনাস্টারী

টুংলুর কাছে

সেলফি

টুবাই - এর সঙ্গে টুংলু ফরেস্ট বাংলো

দূরে কথাও - বহুদূরে

টুংলু বাংলোয় দেখা অজানা ফল

টুংলু বাংলো
সকালে এখানে-ই দেখব সূর্যের আলোয় মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা! আমাদের আগামীকালের যাত্রার লক্ষ সান্দাকফু!

এগুলিও দেখুন

১) মানে ভঞ্জন - প্রাক - প্রস্তুতি
২) মানেভঞ্জন থেকে টুংলুর দিকে - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৩) টুংলু থেকে সান্দাকফু - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৪) সান্দাকফু থেকে ফালুট - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৫) ফালুট থেকে গোর্কে - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৬) গোর্কে থেকে ভারেং - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক



সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক ডায়েরি


সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ট্রেক ডায়েরি!

 আমাদের এই ভিডিও টা অবশ্যই দেখো, আর লাইক ও শেয়ার করো! 



একনজরে 
১) মানে ভঞ্জন - প্রাক - প্রস্তুতি
২) মানেভঞ্জন থেকে টুংলুর দিকে - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৩) টুংলু থেকে সান্দাকফু - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৪) সান্দাকফু থেকে ফালুট - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৫) ফালুট থেকে গোর্কে - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক
৬) গোর্কে থেকে ভারেং - সান্দাকফু ফালুট গোর্কে ভারেং ট্রেক


নির্ঘণ্ট 
প্রথমদিন - মানেভঞ্জন থেকে টুংলু
দ্বিতীয়দিন - টুংলু থেকে সান্দাকফু
তৃতীয়দিন - সান্দাকফু থেকে ফালুট
চতুর্থদিন - ফালুট থেকে গোর্কে
পঞ্চমদিন - গোর্কে থেকে ভারেং

আনুসাঙ্গিক সুবিধা - থাকা - থাওয়া - যাতায়াত ইত্যাদি
মানেভঞ্জন থেকে ফালুট পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের পথ আছে - সান্দাকফু পর্যন্ত রাস্তা বেশ ভাল - তারপর গাড়িতে খুব আরামদায়ক যাত্রা হবে না। আমরা অবশ্য প্রায় ৮১ কিমি পথ পাঁচদিনে হেঁটেই গেছি। সর্বত্র হোম-স্টে বা G.T.A-এর বাংলো আছে। সৌমিত কে ধন্যবাদ। ও সময় থাকতে সর্বত্র থাকার খুব ভাল ব্যবস্থা করেছিল। খাওয়া বেশ ব্যয়বহুল, তবে সহজলভ্য। বরষার আগে- পরে গেলে জোঁক থাকতে পারে। শুনেছি  নুন-পুটলি খুব কার্যকর। তবে আমাকে জোঁকে খেলেও ২/৩ - ঘণ্টা পর রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ কিছু করতে হয়নি। অর্ক-কে প্রেস- ব্যান্ডেজ দিতে হয়েছিল রক্তপাত বন্ধ করার জন্য।

পরিবেশ ও তাপমাত্রা 
আমরা গেছিলাম অক্টোবরের মাঝামাঝি। ফালুতে প্রবল ঠাণ্ডা, সান্দাকফুতে-ও রাত ও ভোরের দিকে বেশ ঠাণ্ডা। আমার ধারনা যত ডিসেম্বর - জানুয়ারির দিকে যাবে, তত ঠাণ্ডা বেশী পাবে।

প্রয়োজনীয় পোশাক - পরিচ্ছদ
যেকোনো ট্রেকের ক্ষেত্রে এই বিষয় টি যেনে রাখা খুব জরুরি! গরম পোশাক কম নিলে - প্রবল ঠাণ্ডার সময় খুব কষ্ট, আবার বেশী নিলে - বোঝা বইতে হবে! দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য ১/২ ট্রাঊজার, ২/৩ টি হাল্কা টি-শার্ট নেওয়া জরুরী। ট্রেকের সময় হাল্কা টি-শার্ট / ট্রাঊজার সবচেয়ে আরামদায়ক। অতিরিক্ত ২/৩ জোড়া মোজা থাকা জরুরি। রাতে ও খুব ভোরে পড়ার জন্য - উলের মোজা, থার্মাল ইনার, গ্লাভস, বালাক্লাভা। বৃষ্টির থেকে বাঁচার জন্য পঞ্চ বা ফোল্ডিং ছাতা। হাল্কা অথচ ভাল গ্রিপের জুতো খুব জরুরী।

শুকনো খাবার 
 যেহেতু এই রুটে জলের অভাব আছে এবং কোন কোন জায়গায় টানা চড়াই, তাই লজেন্স, কিসমিস, কাজু, আমস্বত্ত ও খেজুর ও ১ লিটার জলের বোতল সঙ্গে থাকা খুব জরুরি। এছাড়া চিড়ে, ছাতু ও সাধারণ বিস্কুট পর্যাপ্ত পরিমাণে সঙ্গে থাকলে - সময় ও অর্থ দুয়ের-ই সাশ্রয় হবে।

এবার আমার সঙ্গে ঘুরে ফিরে দেখো, জায়গাটা কেমন লাগে। ভাল লাগলে অবশ্যই একবার যাবে, খুব অসুবিধে হবে না।

আমরা মানেভঞ্জনের পথে চলেছি - গাড়িতে।
আমাদের টিমের সদস্য ও গাইড - ফালুটে







সাহেব ও আমি - এনার উৎসাহেই আমার ট্র্যাকিং শুরু হয়

কালু, টুবাই, আমি

অর্ক

চা - বাগান


গ্রিন পাইন হোমস্টে

পাহাড়ের ঢালে রূপের ডালি

পাইনের ফাঁকে মেঘেদের লুকোচুরি


আমি, অর্ক , সাহেব , কালু, টুবাই, টাপু

নিউ জলপাইগুড়ি


কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। এতদিনের এত ঘটনা। নানাবিধ পরিবেশ পরিস্থিতি - নানাবিধ মানুষজন। তবে সবমিলিয়ে প্রথমেই বকে দি - এককথায় অবিস্মরণীয়। 

মানেভঞ্জনে আমরা পৌঁছলাম এবছর দুর্গাপূজার ঠিক পরেই। ট্রেক রুটের বিষয়ে কিছুই খবর নেওয়া হয়নি। চোদ্দ জনের টিম। ২৪ থেকে ৫৪ বছর - প্রায় সব বয়সী সদস্যরাই উপস্থিত এই টিমে। আমার ভরসা বলতে প্রসেঞ্জিত ও সৌমিত - এই দুই অভিজ্ঞ পর্বতারোহী এবং আমাদের তাপু আর টুবাই।  কয়েকদিন আগের গঙ্গোত্রী থেকে গোমুখ ট্রেক এর অভিজ্ঞতাও এখনো তরতাজা। 

মানেভঞ্জনে আমাদের থাকার ব্যবস্থা হল একটি হোমস্টে-তে। রাতে কাম্পফায়ার করে খাওয়া - দাওয়ার পর  মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হল। 

আমাদের যাত্রা শুরু কাল থেকে। লক্ষ্য টুংলু। 







Wednesday, 20 November 2019

গ্রাম বাংলা - সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি

ট্রেনে করে ফিরছি।  ভোরবেলা। অস্ফুট প্রভাত সূর্যের আলোয় আবার একবার চোখের সামনে ফুটে উঠল গ্রাম বাংলার অনবদ্য প্রতিচ্ছবি। 

কদিন আগেই সাইক্লোনের দাপটে উঠাল পাথাল হয়েছিল বাংলা। প্রবল ঝড়ের তাণ্ডবে এলোমেলো হয়ে গেছিল চারিপাশ। আজ আবার ঝড় সামনে বাংলার অতিপরিচিত শান্ত-সৌম্য প্রতিমূর্তি ফুটে উঠেছে।
বহুবার দেখেছি এই ধানক্ষেত, জলভরা বিন, পাখপাখালির আনাগোনা। কিন্তু চোখ কখনই ক্লান্ত হয়নি। মন চেয়েছে আবার যেন আসতে পারি আবার যেন দেখতে পারি বাংলার এই অবর্ণনীয় রূপ।

ভিডিওটা ট্রেন থেকে তোলা। আমার ট্রেনের সহযাত্রীরা এখনো গভীর নিদ্রায়। ভাবলাম এই মুহূর্তে তাকে সারা জীবনের মতো ধরে রাখ তাই এই প্রচেষ্টা। 

https://youtu.be/ooVmFN7DqSc



Sunday, 27 October 2019

হাজারো যন্ত্রণা


হাজারো যন্ত্রণা
 - সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য

সত্যের সম্মুখীন হওয়ার বড় বিপদ
রাতবিরেতে ফোন আসতে পারে
হ্যালো, মিস্টার ভটচাজ
শালা, বারোটা বাজাবো আজ
বাইরে আয়।

তার চেয়ে সত্যি থাক সিন্দুকে
যা খুশি বলতে থাক নিন্দুকে
কী বা এসে যায়।

শুধু বুকের মধ্যে বেদম জট
চোখের কোণে অনুসন্ধান
হয়ত কোনো বেহিসাবী চোখ
নিভৃতে করবে জীবনদান।

ততদিন ছুটবো আমি
একদমে, এতটুকু না থামি
নিজের থেকেও থাকব যোজন দূরে
কেউ দেখবে না, কেউ শুনবে না
কেউ জানবে না, গোপন বেদনা।
আবারো কোন দীপাবলির আলোয়, 
হয়ত হারিয়ে যাবে হাজারো যন্ত্রণা।


২৭/২০/২০১৯, দীপাবলি
বেহালা, ৮:৩০ সন্ধ্যা

Saturday, 28 September 2019

Fire Phuchka - New Delicacy Must We Experience

Fire phuchka! Experience the fireball entering your mouth! Happy Mahalaya!
শুভ মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। শুরুটা ভাল-ই হল। অগ্নি - ফুচকা দিয়ে। এটা এমন একটা অনুভূতি যাতে রোমাঞ্চ মিশে আছে। বেশ ভাল লাগল। 


Saturday, 21 September 2019

কোথায় আছিস?


কোথায় আছিস সুখপাখী তুই পলকা হাওয়া,
মাঝদুপুরে উজান মনে  কিসের ছায়া।
বেশ তো ছিল ভাতঘুমে দুপুর গড়া
সাঁঝবেলাতে সুর চড়িয়ে নামতা পড়া।

কবে যেন দিন ঘুরে পেরোয় বছর
ছোটবেলার খেলনা স্মৃতি বড়ই মেদুর
এখন আমার বলা কথা অনেক দামী
আমার থেকেই হারিয়ে গেছে 'সেই আমি'
জানালা থেকে একটুকরো আকাশ



  

Saturday, 14 September 2019

Journey to Basic Mountaineerig Course at Himalayan Mountaineering Institute (HMI)


Prasenjit Mukherjee (After BMC at HMI)
HMI (Himalayan Mountaineering Institute) was not well known to me but for recent past. Of late members from our team are frequent trainees in HMI. Last December, it was the turn of Prasenjit, and this time, Dipankar Banerjee starts his 28-day long training today. Yesterday was the day to see-off at Sealdah.  We attended him. Depankar, a high school teacher by profession, was rather excited and at the same time bit low for he has to leave his family behind for so long days! Okay! This is how life goes on.

Prasenjit Mukherjee before BMC

What I get from those completed BMC is that each day you face new and stronger challenges which will take litmus test on your character. You feel helpless. You feel frustrated, fatigued, depressed. But you need inner strength to keep on going. You need to overcome your weakness by shear mental strength. This helps developing character.

Dipankar Banerjee on the way to HMI


Fortunate to meet lots of HMI-ans of late! They look simple. But so far as mountaineering goes, they are real marvels! The paths that anyone would dare to go, they take on by choice with full gaity.

Subha with family, me, Dipankar (Check Shirt), Pappu, Prasenjit

Anyway, I am not the expert to comment on HMI. Someday, I will videograph those who have completed BMC from HMI and update this post. Till then let me share few pictures of my friends / brothers during their HMI days. And surely, a snap of HAPPY JOURNEY episode to Dipankar Banerjee.

Prasenjit, Dipankar & Me

BTW did I mention, I got my new phone. This OPPO A5S has 4GB RAM, 64 GB Memory. Battery stands for nearly 24 hours. Considering my usage as hotspot for soft browsing, this sounds good. Picture is OPPO class. But I really do not like OPPO hiding ages. It should be original. But they are using some filter in Camera to look you younger needlessly. Sound is good but not like Samsung. It lacks that sharpness and brilliance. The set is lightweight and grips well. 

Few links for those interest on HMI:-
That's the staff I had tonight.

Lastly, I have revised my Joomla learning and created a Joomla site after many years. It is always great to maneuver a CMS as powerful as Joomla 3.*. This is the site.  WB ePension Guide (This is a helpful guide for Govt. Employees who want to apply for Pension and also for the schools to fill up pension papers.